প্রিয় নবী (সা.)-এর পছন্দের ফলগুলোর একটি ছিল জয়তুন। কোরআনে বর্ণিত ফলগুলোর অন্যতম একটি ফল জয়তুন।
সুরা ত্বিনের প্রথম আয়াতে মহান আল্লাহ যে দুটি পবিত্র ফলের কসম খেয়েছেন তার একটি ত্বীন অপরটি জয়তুন।
এই ফলের গাছকে আখ্যা দিয়েছেন মুবারক গাছ হিসেবে। পবিত্র কুর-আন মাজীদে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ আসমানসমূহ ও জমিনের নুর। তাঁর নুরের উপমা একটি দীপাধারের মতো। তাতে রয়েছে একটি প্রদীপ, প্রদীপটি রয়েছে একটি চিমনির মধ্যে। চিমনিটি উজ্জ্বল তারকার মতোই। প্রদীপটি বরকতময় জয়তুন গাছের তেল দ্বারা জ্বালানো হয়, যা পূর্ব দিকেরও নয় এবং পশ্চিম দিকেরও নয়। এর তেল যেন আলো বিকিরণ করে, যদিও তাতে আগুন স্পর্শ না করে…।’ (সুরা নুর, আয়াত : ২৪)
জয়তুন নিঃসন্দেহে বরকতময় ফল এর তেলেরও রয়েছে বহু স্বাস্থ্যগত উপকারিতা।
ক্ষত শুকানোর জন্য জয়তুনয়ের ব্যবহার
জয়তুন ক্ষতস্থানে বেশ কার্যকর। ক্ষতস্থানে জয়তুনয়ের তেল প্রয়োগ করলে ক্ষতটি দ্রুত পূর্ণ হয়। জয়তুনয়ের কাঁচা ফল পিষে তা ক্ষত বা পুরানো ক্ষতে লাগালে তাও দ্রুত নিরাময় হয় (জয়তুন তেলের উপকারিতা)। জয়তুনয়ের পাতার গুঁড়ায় মধু মিশিয়ে ক্ষতে লাগালে ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়।
- জয়তুনয়ের ব্যবহার চর্মরোগে কার্যকর (ত্বকের সমস্যাগুলিতে জয়তুনয়ের উপকারিতা)
- জয়তুন ত্বকের রোগ এবং মুখের দাগ মুছতে খুব কার্যকর।
- জয়তুনয়ের কাঁচা ফল পিষে গুটি ও অন্যান্য ফোঁড়ার চিহ্ন দূর করতে সহায়তা করে।
- জয়তুন পাতা পিষে এবং এটিতে প্রয়োগ করে ছত্রাকজনিত চুলকানি এবং দাদ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
- যদি দেহের কোনও অংশ আগুনে পুড়ে যায় তবে কাঁচা জয়তুনয়ের ফল পিষে তা প্রয়োগ করলে ফোসকা যায় না।
- দাদর উপর জয়তুন গাছ থেকে আঠা লাগিয়ে দাদ নিরাময় হয়।
- আরও পড়ুন – স্কিন ডিসঅর্ডারে এমরানথসের উপকারিতা
Reviews
There are no reviews yet.